কক্সবাজার প্রতিনিধি ॥
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় হত দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসৃজন প্রকল্পের ৪ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন তৎকালীন পিআইও, সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকল্প সভাপতিসহ ২৮ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় ৭টি মামলা দায়ের করেছে। চট্টগ্রামস্থ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক শফি উল্লাহ বাদী হয়ে মঙ্গলবার এ মামলাগুলো দায়ের করেন। জানা গেছে, এ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত হত দরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচীর ৫৯ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপক তথ্যভিত্তিক সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রামস্থ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক শফি উলাহ সহ ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তদন্ত শুরু করেন। তৎকালীন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিকদারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন গত ২০,২১,২২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে উখিয়ার ৫ ইউনিয়নের ৫৯টি প্রকল্পের মধ্যে ২০টি প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কমিটি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে এবং প্রকল্প পরিমাপ করে কাজের সাথে প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট বাস্তবসম্মত কোন প্রমাণ পায়নি। এতে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কমিটি ব্যাপক অসন্তুষ প্রকাশ করেন। এ সময় তদন্ত কমিটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অধীনে বাস্তবায়িত ননকস্টের টাকায় উন্নয়ন কাজের কোন প্রমাণ পায়নি। তদন্ত কমিটি প্রায় ৬ মাস পর মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক শফি উলাহ বাদী হয়ে উখিয়া উপজেলার তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিউল আলম শাকিব সহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। চলতি বছরেও কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। কর্মসৃজন প্রকল্পের নামে সুবিধাবাদী সিন্ডিকেট ও প্রসাশনের কর্তাব্যাক্তিরা নামতাওয়ান্তে কর্মসৃজন করে এ প্রকল্পের প্রায় ১ কোটির উপরে ছয়নয় করছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেন।
প্রকাশিত: ১৩/০৫/২০১৫ ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফের কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান ...
পাঠকের মতামত